শিখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিখন কৌশলসমূহ|Teaching strategies for learning Disabled Children|
শিখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিখন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
শিখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিখন কৌশল সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রথমে আমাদের জানতে হবে শিখন প্রতিবন্ধীতা কি? এবং শিখন প্রতিবন্ধী শিশু কারা?
আমরা চাইলেই একজন শিখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরকে স্বাভাবিক শিশুদের সাথে শিক্ষা দিতে পারব না। তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে তাহলে এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কার্যকর হবে। চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক; শিখন প্রতিবন্ধীতা বলতে বোঝায় শিশুদের শিখনে অক্ষমতা এবং শিশুর এই অবস্থাকে শিখন প্রতিবন্ধী বলা হয়।
শিখন প্রতিবন্ধিতা বেশ কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমনঃ
১।ডিসলেক্সিয়া
২।ডিসক্যালকুলিয়া
৩।ডিসগ্রাফিয়া
৪।ডিসপ্রাক্সিয়া
এই ধরণ অনুযায়ী শিখন প্রতিবন্ধিতার শিক্ষণ কৌশলসমূহ আলোচনা করা হলোঃ
ডিসলেক্সিয়া শিশুদের শিক্ষণ কৌশল:
- এদের শিক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক ঈন্দ্রিয়ের ব্যবহার করতে হবে।
- এই শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
- একই বিষয় বারবার অনুশীলন করাতে হবে।
- বোর্ডে লেখা বিষয়গুলোকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের স্বশব্দে পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে।
ডিসক্যালকুলিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের শিক্ষণ কৌশলঃ
- এদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ক্যালকুলেটরের ব্যবহার করতে হবে।
- পূর্বের পড়া পুনরালোচনা করা।
- SELF-TALK এর ব্যবহার করা।
- সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান বস্তুর ব্যবহার করা।
- এদেরকে বেশি সময় দিতে হবে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে।
ডিসগ্রাফিয়া আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে -
- টেপ রেকর্ডারের ব্যবহার করানো।
- মৌখিক পরীক্ষার প্রয়োগ করা।
- বানান ও ব্যাকরণে নমনীয়তা।
- এদেরকে নোট সরবরাহ করানো।
- গ্রাফ পেপারের ব্যবহার বাড়ানো।
শিখন প্রতিবন্ধীতা কি? শিখন প্রতিবন্ধীতা কেন হয়? শিখন প্রতিবন্ধীতার বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি?
ডিসপ্রাক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রেঃ
- লিখিত বা চিত্রযুক্ত teaching aidaid ব্যবহার করানো।
- শিক্ষার্থীদের সাহায্যকরণ।
- এদেরকে বিরতি দিতে হবে পড়াশোনার ফাকে ফাকে।
কোন মন্তব্য নেই