IDEA অন্তর্ভুক্ত ১৪ টি অক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হলো || 14 Disabilities under IDEA Act 2004||

IDEA অন্তর্ভুক্ত ১৪ টি অক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হলো || 14 Disabilities under IDEA Act 2004||


 



IDEA অন্তর্ভুক্ত ১৪ টি অক্ষমতা:

  1. অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার(Autism spectrum Disorder)
  2. শিখন অক্ষমতা(Learning Disability)
  3. বিকাশজনিত অক্ষমতা(Developmental Delay)
  4. আবেগিক/ আচরণগত অক্ষমতা (Emotional Disturbance) 
  5. ভাষাগত অক্ষমতা(Specific Language Disorder) 
  6. বধিরতা(Deafness)
  7. শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা(Deaf-Blindness)
  8. বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা(Intellectual Disability)
  9. শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা(Hearing Impairment) 
  10. দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা( Visual impairment including blindess)
  11. Traumatic Brain Injury
  12. Orthopedic Impairment 
  13. বহুবিধ প্রতিবন্ধিতা(Multiple Disability) 
  14. অন্যান্য স্বাস্থ্য দূর্বলতা(Other Health Impairment)


অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারঃ

অটিজম হলো মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশজনিত একটি জটিল প্রতিবন্ধকতা যা শিশুর জন্মের একবছর ৩ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক অবয়ব সাধারণ মানুষের মতোই হয় একদম। অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে পার্থক্য তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায় না। অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বলা হয়ে থাকে অটিস্টিক শিশু। বেশিরভাগ সময়ই অটিজম আক্রান্ত শিশুরা কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ছবি আঁকা,গান করা,কম্পিউটার চালানো এবং গানিতিক সমস্যা সমাধানে পারদর্শীতা দেখায়। 

এই শিশুদের মাঝে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়ঃ

1। বাচনিক ও অবাচনিক যোগাযোগে সীমাবদ্ধতা 

২। সামাজিক ও পারস্পরিক আচার-আচরণ, ভাব বিনিময় এবং কল্পনার সাথে সম্পৃক্ত কাজের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা।

2। আচরণের পুনরাবৃত্তি। অর্থাৎ একই আচরণ বারবার করে

3। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সাথে সম্পৃক্ত কাজগুলো বা আচরণগুলো ভালোভাবে করতে পারে না।

4।  বিশেষ ক্ষেত্রে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতাও দেখা দিতে পারে। 


আরো পড়ুনঃ

ব্যতিক্রমধর্মী শিশু কারা? এদেরকে আমরা কিভাবে সনাক্ত করবো?


শিখন অক্ষমতা(Learning Disability)

সাধারণ ভাবে শিখন প্রতিবন্ধীতা হলো এমন এক ধরণের অক্ষমতা যার প্রভাবে শিশুরা শিখন কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থতার স্বীকার হয়।

শিখন প্রতিবন্ধীতা হলো শিশুর বা ব্যক্তির ভেতরে এমন এক ধরণের অস্বাভাবিকতা যার প্রভাবে ওই শিশু বা ব্যক্তি সুন্দরভাবে বলতে পারে না, পড়তে পারে না,লিখতে পারেনা,গনিত কষাতে সমস্যা হয়, বানান করতে পারেনা এবং সঠিকভাবে উচ্চারণও করতে পারেনা।

সাধারণ বৈশিষ্ট্য ( Common Characteristics) 

১। এই শিশুদের লিখতে এবং পড়তে সমস্যা হয়।

২। সহজ গনিত বুঝে না বা সহজ গানিতিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেনা।

৩।দীর্ঘক্ষণ মনযোগ ধরে রাখতে পারে না।

৪। স্মৃতিতে বেশি কিছু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেনা।

৫। কোনো কাজ করতে দিলে সেটা সিরিয়ালি বা সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারেনা।

৬। এদের ভেতরে ছন্নছাড়া ভাব (clumsiness) থাকে অর্থাৎ অল্পতেই বিরক্ত বা হতাশ হয়ে যায়।

শিখন প্রতিবন্ধীতার ধরন সমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান ধরনসমূহ হলো:

১। ডিসলেক্সিয়া 

২। ডিসগ্রাফিয়া 

৩। ডিসক্যালকুলিয়া

 ৪। ডিসপ্রাক্সিয়া


আরো পড়ুনঃ

শিখন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কৌশল ||


বিকাশজনিত অক্ষমতা (Developmental Delay):

আমরা নাম শুনেই বুঝতে পারি যে, এটি হলো শিশুর সামাজিক,মানসিক,জ্ঞানীয় এবং আবেগিক বিকাশসমূহ স্বাভাবিক শিশুদের মতো সংগঠিত হয় না। এরা অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে যে-কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে বিশেষ করে শিক্ষাগত কৃতিত্ব বা সাফল্য খুবই কম হয় অন্যান্যদের তুলনায়।


আবেগিক/ আচরণগত অক্ষমতা (Emotional Disturbance) :

IDEA এর মতে Behavioral Disorder হলো এমন এক ধরনের অবস্থা যেখানে নিমোক্ত এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে যা শিশুর শিক্ষার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ

১.বন্ধুদের সাথে শিক্ষকদের সাথে, সহপাঠী, আত্নীয় -স্বজন,প্রতিবেশীর সাথে সন্তোষজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না।

২.স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক আচরণ করে।

৩.সবসময় অসুখী মেজাজে থাকে।

৪.সর্বদা নিজেদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে নেয়। সব কিছুতে ভয় থাকে।

আচরণগত অক্ষমতার বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

আচরণগত অক্ষমতা শুধু যে আবেগীয় ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে তার কিন্তু নয়।বরং একজন ব্যক্তির শারীরিক, সামাজিক বা ঙ্গানীয় ক্ষেত্রসমূহ ও আচরণগত অক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।যেমনঃ

১.অতি চঞ্চল ( দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ রাখতে পারে না) 

২.আক্রমণান্তক বা আত্মঘাতী আচরণ করে।

৩.স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক আচরণ করা।

৪.বেশির ভাগ সময়ই অসুখী বা হতাশ থাকে।

৫.একাডেমিক সাফল্য খুব কম।

আরো পড়ুনঃ

আচরণগত অক্ষম শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কৌশল | Teaching strategies for Behavioural Disabled Students ||


Specific Language Disability :

এটি হলো এক ধরণের ভাষাগত অক্ষমতা যেখানে শিশুদের ভাষাগত বিকাশসমূহ সুন্দরভাবে সংঘটিত হয় না। 

অর্থাৎ যদি কোনো শিশুর বা ব্যক্তির মাঝে তোতলানো,উচ্চারণে সমস্যা, ভাষা প্রকিয়াকরণে সমস্যা বা কণ্ঠস্বরের অক্ষমতা থাকে তাহলে তাকেই বলা হয় ভাষাগত অক্ষমতা। বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়ঃ

  • শব্দ উচ্চারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়। 
  • কথা বলার সময় একই শব্দ বারবার বলে
  • চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেনা। 
  • কথা বলার সময় ভুল বলে।
  • কথা বলার সময় কথার ক্রম ঠিক রাখতে পারে না।

যেমনঃ

  • Stuttering 
  • Speech Disorder(Phonologic Disorder) 
  • Dysarthria


বধিরতা(Deafness):


কানে কম শোনা বা কানে খাটো শোনা,কানে যেকোনো ধরনের ক্ষতির কারনে কম শোনা হলো শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিবন্ধিতা। অপরদিকে কোন ব্যক্তি যদি কানে শুনতে সম্পূর্ণরুপে অক্ষম হয়,তাহলে ওই ব্যক্তির অবস্থাকে বধিরতা বলে।

Deaf Blindness( শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা):

কোনো ব্যক্তির মধ্যে একই সাথে শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তির আংশিক বা পূর্ণ সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান থাকলে এবং তার ফলে যোগাযোগ, বিকাশ এবং শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হলে তিনি শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলে বিবেচিত হবেন।

বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণসমুহ হলোঃ

দৃষ্টি ও ইন্দ্রিয়গত প্রক্রিয়ায় সমস্যা
দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ততার ক্রমাবনতি।
শিক্ষাক্ষেত্রকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে।


বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা(Intellectual Disability)

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হল জীবনের শুরু থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বলতা, বাড়ন্ত বয়সে বুদ্ধি বিকাশের ধীরগতি, শিক্ষা গ্রহনে অক্ষমতা এবং সামাজিক ও আচরণগত সামঞ্জস্যতা সাধনের অভাব।

আমেরিকান এসোসিয়েশন অন মেন্টাল ডেফিসিয়েন্সি ( AAMD) ১৯৫৯ সালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতা বিষয়ক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। ওই পুস্তিকাতে প্রকাশিত সংঙ্গাটি ১৯৬১ সালে সংশোধন করে নিম্নলিখিত ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়

" বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতা বলতে সাধারণত গড় মানের চেয়ে কম বুদ্ধি নির্দেশ করে যা বাড়ন্ত বয়সে সূচিত হয় এবং ওই অবস্থানটি আচরণের অক্ষমতার সাথে সম্পর্কযুক্ত"

এর প্রায় বারো বছর পরে অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে AAMD কর্তৃক প্রদত্ত সংঙ্গাটি পুনঃসংশোধিত হয়- "বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতা বলতে সাধারণত গড় বুদ্ধির চেয়ে সুস্পষ্টভাবে কম বুদ্ধি যা অভিযোজনমূলক আচরণের স্বল্পতার সাথে সংযুক্ত থাকে এবং অবস্থাটি বিকাশমূলক পর্যায়ে বা বাড়ন্ত বয়সে প্রকাশ পায়"


শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা(Hearing Impairment) 

সাধারণভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা বলতে বোঝায় শ্রবণের কোনোরকম ক্ষতি বা সমস্যা যার কারণে  শুনতে সমস্যা হয়,ব্যতিক্রম শুনতে পায় অথবা শুনতে পায় না। সাধারণত শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা দুই ধরণের দেখা যায়। একটিকে শ্রবণ অক্ষমতা বা প্রতিবন্ধিতা  ও অন্যটিকে বধিরতা বলা হয়। 

কানে কম শোনা বা কানে খাটো শোনা,কানে যেকোনো ধরনের ক্ষতির কারনে কম শোনা হলো শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিবন্ধিতা। অপরদিকে কোন ব্যক্তি যদি কানে শুনতে সম্পূর্ণরুপে অক্ষম হয়,তাহলে ওই ব্যক্তির অবস্থাকে বধিরতা বলে।

আমেরিকার Individual with disabilities act(1990) তে বলা হয়েছে,"শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা হলো এমন এক অবস্থা যা ব্যক্তির মধ্যে যন্ত্র ছাড়া বা যন্ত্রসহ অবস্থায় ভূষাগত উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অর্থের উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় এবং তার শিক্ষাগত বিকাশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।"

আবার যেসব শিশুরা জন্মগতভাবে কানে শুনতে পায়না তাদের বাচনিক বিকাশ (কথা বলতে পারা ও শিখতে পারা) সঠিকভাবে হয় না,ব্যক্তির অবস্থাকে বধিরতা বলে এ কারনেই জন্মগতভাবে যারা বধির তাদের মূক বা বোবা বলা হয়। 

মানুষের ত্রুটিযুক্ত শব্দের মাত্রার মধ্যে উৎপন্ন শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির শ্রবণ অনুভূতি জন্মাতে ব্যর্থ হয় অথবা কানের কোনো গঠনগত কারনে কোনো ব্যক্তি সঠিকভাবে শুনতে না পায় অথবা কোনো না কোনো কারনে শুনতে না পাওয়াকেই বলা হয় শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা বা প্রতিবন্ধকতা আর যে শুনতে পায়না অর্থাৎ যার কানে শুনতে সমস্যা তাকে বলা হয় শ্রবণ প্রতিবন্ধী


আরো পড়ুনঃ



দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা( Visual impairment including blindess)

নয়ন,নেত্র বা চোখ হল মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানেন্দ্রিয় চোখ বা দর্শনেন্দ্রিয় পরিবেশের সঙ্গে শিশুর সংযোগ স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেস্বাভাবিক ভাবে বলতে গেলে দর্শনগত কোনো ত্রুটি,বাধা বা অনুপযুক্ততার কারনে একজন একজন শিশু বা ব্যাক্তির দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দেখা যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ব্যক্তির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা কেবলমাত্র দৃষ্টিহীনতা বা অন্ধত্ব নয়,দৃষ্টিগত বিবিধ সমস্যা শিশুকে বা ব্যক্তিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী করে তোলেদৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংজ্ঞা দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত, যথা—(১) চিকিৎসাবিজ্ঞানগত বা আইনগত সংজ্ঞা, (২) শিক্ষাগত সংজ্ঞা।



(১) আইনগত সংজ্ঞা (Legal Definition):
 

আমেরিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে যে সংজ্ঞাটি দিয়েছিলো তাতে বলা হল, যে-সমস্ত ব্যক্তির সবচেয়ে ভালো চোখ বা লেন্স ব্যবহারের পরও ব্যক্তির দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ২০/২০০ বা তারও কম অথবা ব্যক্তির তীক্ষ্ণতা ৬/৬০মিটার এবং  বেশি কিংবা ব্যক্তির ভালো চোখের দৃষ্টি ক্ষেত্র ২০ ডিগ্রি কোণের বেশি নয় বা এর কম তাদের বলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

 

ভারতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এ্যাক্ট(১৯৯২অনুসারে, কোনো ব্যক্তিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলতে গেলে তাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলোর একটি বা একাধিক পূরণ করতে হবে, তা হল:-

1. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দৃষ্টির তীক্ষ্ণতায় ঘাটতি থাকে ।

2. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সর্বোত্তম সংশোধন সত্বেও দৃষ্টির সীমা ২০/২০০ ফুট - এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ।

3. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দৃষ্টিক্ষেত্র ২০ ° কোণের মধ্যে বিস্তৃত থাকে ।

 

K.C PANDA ( 1997) বলেনদৃষ্টির তীক্ষ্ণতা দৃষ্টির ক্ষেত্র এবং দৃষ্টিগত পারদর্শিতার সাহায্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সংজ্ঞা দেওয়া হয়



আরো পড়ুনঃ

বহুবিধ প্রতিবন্ধিতা(Multiple Disability) 

যে সকল শিশুরা একাধিক ধরণের প্রতিবন্ধীতা নিয়ে জন্মায় বা জন্মের পরবর্তীকালে একাধিক প্রতিবন্ধীতার স্বীকার হয় তাহলে তাদের বহুবিধ প্রতিবন্ধীতা বলে। যেমনঃ

অন্ধত্ব + বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা

Mental Retardation + Orthopedic Impairment 

Locomotor Disability + Speech Impairment 

এছাড়াও অন্যভাবে বলা যেতে পারেঃ

বহুবিধ প্রতিবন্ধীতা হলো এক বা একাধিক গুরুতর অক্ষমতার সংমিশ্রণ যা ব্যক্তির শিখন ও দৈনন্দিন অন্যান্য কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। 


Traumatic Brain Injury:

এটি হলো  এমন একটি অক্ষমতা যা কোনো বাহ্যিক আঘাত বা দূর্ঘটনার কারণে মস্তিষ্ক আঘাতপ্রাপ্ত হয় যার ফলে ওই ব্যক্তির বিভিন্ন ধরণের বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়। 


Orthopedic Impairment:

অপরিণত মস্তিষ্ক কোনো আঘাত বা রোগের আক্রমণের ফলে যদি কোনো ব্যক্তির সাধারণ চলাফেরা ও দেহভঙ্গিমাতে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় যা ওই শিশুর দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্মকে বাঁধাগ্রস্থ করে,তাই হলো Orthopedic Impairment.  এই অক্ষমতার একটি বড় উদাহরণ হলোঃ Cerebral Palsy.

বিশেষ কিছু লক্ষণঃ

  • পেশি খুব শক্ত ও শিথিল থাকা
  • হাত ও পায়ের সাদারণ নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা 
  • স্বাভাবিক চলাফেরায় অসামঞ্জস্যতা।
  • আচরণগত সীমাবদ্ধতা 
  • যোগোযোগজনওত সীমাবদ্ধতা।


অন্যান্য স্বাস্থ্য দূর্বলতা(Other Health Impairment)

যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে উপরে আলোচিত প্রতিবন্ধকতার ধরণগুলো ব্যতিত অন্য কোনো ধরণের অক্ষমতা দেখা দেয় তাহলে সেটা হবে  Other Health Impairment.বিশেষ করে এই ধরণের প্রতিবন্ধীতার জন্য সার্বক্ষনিক চিকিৎসার ভিতরে থাকতে হয় অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা নিতে হয়।

  1. Tourette Syndrome
  2. Epilepsy
  3. Leukemia
  4. Lead Poisoning


আমি শাহরিয়ার তানজিদ শাওন। আমি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ.




কোন মন্তব্য নেই

Blogger থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.