দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা কি? দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতার শ্রেণীবিভাগ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণগুলো কি কি||What is visual Impairment and types of Visual Impairment||

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতা কি?  দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতার শ্রেণীবিভাগ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণগুলো কি কি||


visual impairment


 পৃথিবীতে সকল মানুষ সুস্থ, স্বাভাবিক ও পূর্ণাঙ্গ বিকাশপ্রাপ্ত এমনটি বলা যাবে না পৃথিবীতে যেমন স্বাভাবিক মানুষ রয়েছে, তেমনি অস্বাভাবিক মানুষ ও রয়েছে তারা একজন ব্যাক্তি অন্য ব্যাক্তি থেকে আলাদা হয়ে থাকে যার জন্য তাদেরকে আমরা ব্যাতিক্রমধর্মী শিশু বলতে পারিব্যাতিক্রমধর্মী শিশুরা একেক জনের কাছে একেক রকমের হয়ে থাকে তাদেরকে নিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের চিন্তা করে থাকেব্যাতিক্রমধর্মী শিশুরা সাধারণত অনেক প্রকারের হয়ে থাকে

এই প্রতিবেদনে  আমরা ব্যাতিক্রমধর্মী শিশুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচলা করবো

নয়ন,নেত্র বা চোখ হল মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানেন্দ্রিয় চোখ বা দর্শনেন্দ্রিয় পরিবেশের সঙ্গে শিশুর সংযোগ স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেস্বাভাবিক ভাবে বলতে গেলে দর্শনগত কোনো ত্রুটি,বাধা বা অনুপযুক্ততার কারনে একজন একজন শিশু বা ব্যাক্তির দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা দেখা যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ব্যক্তির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা কেবলমাত্র দৃষ্টিহীনতা বা অন্ধত্ব নয়,দৃষ্টিগত বিবিধ সমস্যা শিশুকে বা ব্যক্তিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী করে তোলেদৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংজ্ঞা দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত, যথা—(১) চিকিৎসাবিজ্ঞানগত বা আইনগত সংজ্ঞা, (২) শিক্ষাগত সংজ্ঞা।



(১) আইনগত সংজ্ঞা (Legal Definition):
 

আমেরিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে যে সংজ্ঞাটি দিয়েছিলো তাতে বলা হল, যে-সমস্ত ব্যক্তির সবচেয়ে ভালো চোখ বা লেন্স ব্যবহারের পরও ব্যক্তির দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ২০/২০০ বা তারও কম অথবা ব্যক্তির তীক্ষ্ণতা ৬/৬০মিটার এবং  বেশি কিংবা ব্যক্তির ভালো চোখের দৃষ্টি ক্ষেত্র ২০ ডিগ্রি কোণের বেশি নয় বা এর কম তাদের বলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

 

ভারতে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এ্যাক্ট(১৯৯২) অনুসারে, কোনো ব্যক্তিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলতে গেলে তাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলোর একটি বা একাধিক পূরণ করতে হবে, তা হল:-

1. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দৃষ্টির তীক্ষ্ণতায় ঘাটতি থাকে ।

2. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সর্বোত্তম সংশোধন সত্বেও দৃষ্টির সীমা ২০/২০০ ফুট - এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ।

3. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দৃষ্টিক্ষেত্র ২০ ° কোণের মধ্যে বিস্তৃত থাকে ।

 

K.C PANDA ( 1997) বলেন, দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা দৃষ্টির ক্ষেত্র এবং দৃষ্টিগত পারদর্শিতার সাহায্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সংজ্ঞা দেওয়া হয়

 

 

 
(২) শিক্ষাগত সংজ্ঞা (Education Definition):
 

সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন হল সেই ব্যক্তি যার দর্শন ক্ষমতা এতটাই ত্রুটিযুক্ত যে, সে স্বাভাবিক প্রদর্শন পদ্ধতিতে পাঠ করতে পারে না। অনেক শিক্ষাবিদের মতে, যারা আইনগতভাবে দৃষ্টিহীন তারা। কার্যক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন নাও হতে পারে। কারণ মানুষের চোখে দু-প্রকার ত্রূটি থাকতে পারে যথাক্রমে— দূরদৃষ্টি (Hyper metropia) ও হ্রদ সৃষ্টি (Myopia) সংক্রান্ত ত্রূটি।

 

J. Banerjee 2009, একজন সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাকেই বলা হবে যার দৃষ্টিশক্তি এতটাই ত্রুটিপূর্ণ বা সীমাবদ্ধ যে , কোনো দৃষ্টিগত পদ্ধতিতে তাকে শিক্ষাদান করা সম্ভব নয় ।

 

PL : 94-142 ( Education for All Handicapped Children Act ) দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার শিক্ষাগত সংজ্ঞা দিয়েছেন । এই সংজ্ঞা অনুযায়ী যদি কোনো শিশুর দৃষ্টি সমস্যার উপযুক্ত চিকিৎসার পরও শিশুর শিক্ষায় তার দৃষ্টি অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসে তবেই তাকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলা হবে ।

 

অবশেষে বলা যেতে পারে , দৃষ্টিহীন শব্দটি কেবল তাদের পক্ষেই প্রযোজ্য হতে পারে যাদের একেবারে দৃষ্টিশক্তি নেই অথবা যারা শুধু আলোছায়ার পার্থক্যটুকু বুঝতে সক্ষম এবং অন্যান্য সকলের ক্ষেত্রে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শব্দটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে ।


দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার শ্রেণীবিভাগ:

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শ্রেণিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে সকলে একমত নয়। ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিভিন্ন সংস্থা,দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেনীবিভাগ করেছেন।  প্রথমত, বিস্তৃত অর্থে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

 

১।  সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন: 

যে শিশুদের আলোক প্রত্যক্ষণ ক্ষমতা থাকে না তারাই সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন । অর্থাৎ এদের আলো - অন্ধকার , স্থিরবস্তু- চলমান বস্তু এই বোধ থাকে না ।

 

২।  আংশিক দৃষ্টিহীন:

যে সমস্ত শিশু চশমা ব্যবহার করেও দূরের দৃষ্টি ২০ / ২০০ ফুটের কম বা ৬/৬০ মিটারের কম থাকে তারা আংশিক দৃষ্টিহীন ।

 

৩।  অতিক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন:

যে সমস্ত শিশু চশমা ব্যবহার সত্বেও দৃষ্টিক্ষেত্র মাত্র ২০ ফুট বা তার কম হয় তবে সে অতিক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন ।

 

আমেরিকায় অফিস অফ রিহ্যাবিলিটেশন সার্ভিসেস দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন।  যথা:

 

ক্যাটাগরি

শ্রেণীবিভাগ

বৈশিষ্ট্য

সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন

উভয় চোখ দৃষ্টিহীন।  আলোক প্রত্যক্ষন ক্ষমতা থাকে না।

আইনগত দৃষ্টিহীন

উভয় চোখে দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ২০/২০০ এর বেশি নয় বা দৃষ্টি ক্ষেত্র ২০ ডিগ্রির কম।

দৃষ্টিশক্তিন২০/২০০ হতে ২০/৬০ এর মধ্যে

একটি চোখে দৃষ্টিহীনতা এবং অপর চোখের তীক্ষ্ণতা ২০/২০০ হতে ২০/৬০ এর মধ্যে অথবা একই সঙ্গে দৃষ্টির ক্ষেত্র ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

একটি চোখে দৃষ্টিহীনতা

একটি চোখ দৃষ্টিহীন এবং অপর চোখ স্বাভাবিক।

অন্যান্য দৃষ্টিগত সমস্যা

বর্ণান্ধতা,রাতকানা,ইত্যাদি সমস্যায় যারা আক্রান্ত।

 

 

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিচের শ্রেণীতে ভাগ করেছেন।  যথা:

ক্যাটাগরি

শ্রেণীবিভাগ

বৈশিষ্ট্য

দৃষ্টিহীন

দৃষ্টিহীন

সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, কোনো আলোক প্রত্যক্ষণ ক্ষমতা ও থাকে না

 

প্রায় দৃষ্টিহীন

দৃষ্টির বিশ্বাসযোগ্যতা অনুপস্থিত।

আংশিক দৃষ্টিমান

গুরুত্বর মাত্রায়

দৃষ্টির প্রয়োজন এরূপ কাজ কর্ম খুবই অল্প পরিমানে করতে পারে।

 

গভীর মাত্রায়

অধিক দৃষ্টির প্রয়োজন এরূপ কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়।

 

 দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণ ( Causes of Visual Impairment ) :

দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কেন ঘটে এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন গবেষণায় ও পর্যবেক্ষণে বিবিধ ক্ষেত্রে চিহ্নিত হয়েছে । যেমন - দর্শনেন্দ্রিয়ের গঠনগত ত্রুটির জন্য অক্ষমতা হতে পারে , তেমনই আঘাত , সংক্রামক ব্যাধি , অপুষ্টি ইত্যাদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণ হিসেবে দেখা যায় ।

( ১ ) চোখের গঠনগত কারণ : চোখের আকৃতি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তবে দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় । এ ছাড়া সঞ্চালনা পেশি অক্ষিগোলক বা কর্ণিয়ার গঠনে সমস্যা থাকলে তা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার জন্য দায়ী হতে পারে । চোখের কাজের ভিত্তিতে চারটি অংশ দেখা যায় ।

( ক ) সুরক্ষার কার্য পরিচালনাকারী অংশ বা Protective Part : যদি চোখের তারায় বা অক্ষিগোলকে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে অন্ধত্ব আসতে পারে । ট্রাকোমা অসুখটি এই অংশে হয় যা কর্ণিয়াকে প্রভাবিত করে ও দর্শন প্রতিবন্ধকতা ঘটাতে পারে ।

( খ ) দৃষ্টিশক্তি প্রদানকারী অংশ বা Refractive Part : কর্ণিয়ার উপর বস্তুর ছবি প্রতিফলিত হলে আমরা দেখতে পাই । এই অংশে কোনো সমস্যা থাকলে দেখার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ঘটে । যেমন — মায়োপিয়ার কারণে আলোকরশ্মি রেটিনার সামনে পতিত হয় বলে দূরের বস্তু দেখতে সমস্যা হয় ।

( গ ) অভিযোজনকারী অংশ বা Accommodative Part : আইবল বা অক্ষিতারকার সঞ্চালনায় সমস্যা দেখা গেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা হতে পারে । যেমন — নিসট্যাগমাস ( Nystagmes ) - এর কারণে অক্ষিতারকার অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চালনা হয় , ফলে কোনো বস্তুর প্রতি স্থির দৃষ্টিপাত করা সম্ভব হয় না ।

( ঘ ) উদ্দীপনা গ্রহণকারী অংশ বা Receptive Part : মস্তিষ্কের যে অংশ দর্শন সংবেদনের জন্য দায়ী , সেই অংশে কোনো অসঙ্গতি দেখা গেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ঘটতে পারে ।

( ২ ) বংশগত কারণ : কোনো কোনো সমীক্ষায় দেখা গেছে জিনবাহিত ত্রুটির কারণে শিশুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা আসে । বংশগত বিভিন্ন ব্যাধি যেমন — জন্মগত ছানি , নিসট্যাগমাস , ডায়াবেটিস ইত্যাদি শিশুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণ ।

( ৩ ) জন্ম পূর্ববর্তী কারণ : গর্ভাবস্থায় মায়ের যদি কোনো সংক্রামক অসুস্থতা হয় যেমন — রুবেলা , সিফিলিস , টক্সোপ্লাজমেসিস ইত্যাদি । তবে শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতে পারে । বেশি বয়সে মা হলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় । এছাড়া বাবা - মায়ের রক্তের শ্রেণিগত অমিল হলে , মা অপুষ্টির শিকার হলে , মায়ের নেশাদ্রব্য গ্রহণের অভ্যাস থাকলেও শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতে পারে ।

( ৪ ) জন্মকালীন কারণ : শিশুর জন্মের সময়ে যদি যান্ত্রিক আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে ত্রুটি দেখা দেয় যেমন — ফরসেপ ডেলিভারি তবে শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতে পারে । শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্মালে ( Low Birth Weight ) শিশুর দৃষ্টিগত অক্ষমতা আসতে পারে ।

( ৫ ) জন্ম পরবর্তী কারণ : শিশু জন্মের পর পরিবেশগত কারণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতে পারে । বিভিন্ন সমীক্ষায় ভারতবর্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার যে চিত্র উঠে আসে তা হল

·       ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার হার বেশি ।

·       ভিটামিন - এ কম মাত্রায় গ্রহণ ছাড়াও অপুষ্টি অন্ধত্বের বড়ো কারণ ।

·       কম বয়সে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলার ঘটনা ভারতবর্ষে সুলভ ।  যেমন ৩০ % দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাদের ২০ বছর বয়সের আগেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে ।

·       দারিদ্র্য , অপুষ্টি , সচেতনতার অভাব , শিক্ষার প্রসারের অভাব এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘাটতি অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার জন্য দায়ী ।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO ) National Programme Control of Blind ness ( NPCB ) এদের যৌথ গবেষণা থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার মূল কারণ হিসেবে চোখের ছানি পড়াকে নির্দেশ করে ( WHO - NPCB 1981-1986 ) আরোও আগে Indian Council of Medical Research ( ICMR 1971-1974 ) এর গবেষণাতেও চোখে ছানি পড়াকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে ।


দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার জন্য দায়ী কয়েকটি চক্ষুরোগ:

Ø  ট্র্যাকোমা

Ø  কনজাংটিভাইটিস

Ø  অপথ্যালমিয়া নিওনেটোরাম

Ø  কেরাটাইটিস

Ø  গ্লুকোমা

Ø  জেরপথ্যালমিয়া

Ø  ছানি


Written By: Shahriar Tanzid Shaon



আমি শাহরিয়ার তানজিদ শাওন। আমি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লা

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.