শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কৌশল| Strategies for Hearing Impaired Children||

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কৌশল | Strategies for Hearing Impaired Children|| 



শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষণ কৌশল:

শিক্ষা কোনো সুযোগ নয়। শিক্ষা যেকোনো শিশুর জন্মগত অধিকার। এই অধিকারকে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরও তাই শিক্ষালাভের জন্মগত অধিকার রয়েছে যা শিশুর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা মানেই সবকিছু শেষ না। কারণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা চাইলেই অন্য স্বাভাবিক শিশুদের মত স্বাভাবিকভাবে শিক্ষাদান করতে পারবো না। এদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। যে কোশলগুলো অবলম্বন করার ফলে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার বিকাশ এবং শিক্ষা খুবই ভালো হয়। 

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণাল সমাজসেবা অধিদপ্তর ৭টি শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা করছে। এ সকল বিদ্যালয়ে ছাত্রদের ইশারা ভাষা শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা প্রদান করা হয়।

তাই আমরা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হব। নিচে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষণ কৌশলসমূহ আলোচনা করা হলো:

১। ইশারা ভাষা পদ্ধতি:

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষণের ক্ষেত্রে অন্যতম জনপ্রিয়,সহজ এবং সহায়ক পদ্ধতি হলো সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ইশারা ভাষা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মনযোগের সাথে শিখতে পারে এবং ওদের কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগে। শিশুর কণ্ঠে অ-আ-ক-খ বর্ণমালা পরিচয়ে ভাষার সাথে প্রথম সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু যে শিশুটির মুখে শব্দ ফোটে না, প্রকৃতি যাকে শব্দ শুনতে পাবার সুযোগ করে দেয়নি, তারও কিন্তু নিজের ভাষা আছে। সে ইশারায় মনের ভাব প্রকাশ করে। হাত আর ঠোঁটের ইশারায় বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করা, এটাই হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশের বাকি ৬০ ভাগ অংশ- বডি ল্যাংগুয়েজ বা শারীরিক ভাষা। শরীরের নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে যে শব্দমালা সাজিয়ে ভাবের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তা-ই হচ্ছে বডি ল্যাংগুয়েজ। আর সাইন ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে বডি ল্যাংগুয়েজেরই একটা অংশ। মূলত মূক ও বধির লোকদের ভাব বিনিময়ের জন্য এ ভাষাটি ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুনঃ
শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা কি? শ্রবণ প্রতিবন্ধীতা কেন হয়?| What is Hearing impairment? Causes of Hearing Impairment||

২। শ্রেণিকক্ষ অভিযোজন পদ্ধতি:

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষ উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।  এমন সরঞ্জামগুলি বা যন্ত্রসমূহ বন্ধ করে রাখা যে ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ তৈরি করে(যেমন ফ্যান এবং প্রজেক্টর) যখন এগুলোর ব্যবহার না হয়।  যদি পোর্টেবল বা শ্রেণীকক্ষে কোলাহলপূর্ণ হিটিং বা কুলিং সিস্টেম থাকে, তাহলে রুম বা শ্রেনিকক্ষ পরিবর্তন করতে হবে। অতিরিক্ত শব্দ দূর করার জন্য শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস লেকচার এবং অ্যাসাইনমেন্টে ফোকাস করতে বা বুঝতে সহায়তা করে। এরিয়া রাগ, ভারী পর্দা এবং চেয়ার বটমগুলিতে টেনিস বলগুলিও প্রচুর পরিমাণে বহিরাগত শব্দ দূর করতে পারে।

তাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ অভিযোজন পদ্ধতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুরা তাদের পড়াশোনার জন্য আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়।


৩। কার্যকর যোগাযোগ পদ্ধতি:

কার্যকর যোগাযোগ পদ্ধতি


 একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সাফল্য নিশ্চিত করতে তার সাথে কার্যকর যোগাযোগ করা অত্যাবশ্যক।  যেহেতু অনেক শ্রবণশক্তিহীন শিক্ষার্থী Lip-reading এর উপর নির্ভরশীল,তাই শিক্ষক যখন পড়াবেন তখন কয়েকটি বিষয় তার মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ

  • যোগাযোগ বা শিক্ষাদানের সময় শিক্ষক অবশ্যই শিক্ষার্থীর দিকে সরাসরি তাকিয়ে কথা বলবেন এবং  শিক্ষার্থীকে আন্তরিকতার সাথে ফেস করবেন।

  • শিক্ষার্থীর মনযোগ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীর নাম ধরে ডাকতে পারেন বা কথা বলার সময় বিভিন্ন  সংকেত ব্যবহার করতে পারেন।

  • শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের সামনের একটি ডেস্কে বসানো  বা যেখান থেকে শিক্ষকের  আপনার লেকচার স্পষ্ট শোনা যায় বা বোঝা যায় সেখানে বসানো।

  • স্বাভাবিকভাবে এবং পরিষ্কারভাবে কথা বলুন। 

  • মনে রাখবেন,জোরে জোরে কথা বলা কোনো সাহায্য করবে না।

  • আপনার ঠোঁটের নড়াচড়াকে অতিরঞ্জিত করবেন না, তবে কিছুটা ধীর করার ফলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

  • আপনার বার্তা বা তথ্য সঠিকভাবে শিক্ষার্থীর পৌছানোর জন্য  মুখের অভিব্যক্তি, অঙ্গভঙ্গি এবং শরীরের ভাষা ব্যবহার করুন, তবে এটি অতিরিক্ত করা যাবেনা।

  • কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো শ্রবন প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বুঝতে খুব সমস্যা পোহাতে হয় সেগুলোকে বোঝানোর জন্য জোকস বা বিভিন্ন মজার গল্পের মাধ্যমে শেখানো।

  • অল্প বয়স্ক শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা প্রায়ই সামাজিক অনুগ্রহের বিকাশে পিছিয়ে থাকে।  গেম বা কথোপকথনে যোগদান, কথোপকথন বজায় রাখা এবং বিষয়ে থাকার মতো নির্দিষ্ট সামাজিক দক্ষতা শেখানো।

 তাই কার্যকর যোগাযোগ পদ্ধতি শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল।

আরো পড়ুনঃ

আচরণগত অক্ষম শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ কৌশল | Teaching strategies for Behavioural Disabled Students ||


৪। ভিজ্যুয়াল কৌশল এবং পাঠ্যক্রম থাকার ব্যবস্থা:  

প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস নির্দেশাবলী এবং পদ্ধতিগত পরিবর্তনগুলি বোর্ডে লিখে রাখা যার মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বোর্ডের লেখাগুলো দেখেও তাদের পাঠ সম্পর্কে জানতে পারবে। আর এর জন্য একজন ভিজুয়্যাল ক্যু (Visual cue) নিয়োগ দেওয়া যে প্রতিদিনের কার্যক্রমগুলো বোডে লিখে রাখবেন। যদি একজন শিক্ষার্থী কম্পিউটারে  দক্ষ হয়, তাহলে ক্লাস চলাকালীন নোট এবং যোগাযোগের জন্য তাদের একটি ল্যাপটপ প্রদান করার ব্যবস্থা করা।  সম্ভব হলে একটি বৃত্তাকার প্যাটার্নে ডেস্ক সাজানো যাতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অন্য শিক্ষার্থীদের দেখতে পারে। দলবদ্ধ আলোচনার জন্য একটি টকিং স্টিক ব্যবহার করা, ছাত্রদের মধ্যে কে কথা বলছে তা জানতে সাহায্য করার জন্য। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের পাঠের একটি রূপরেখা এবং নোটের মুদ্রিত কপি প্রদান করা,যাতে শিক্ষকের পাঠদানের সময় আলোচনা এবং প্রশ্নগুলিতে শিক্ষার্থীরা ফোকাস করতে পারে। আর এর ফলে শিক্ষার্থীরা শেখার ক্ষেত্রে আরও বেশি মনযোগী হয় এবং পরবর্তী সময়ে সহজেই নোটগুলি পর্যালোচনা করতে পারবে।  যেহেতু দৃষ্টি একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর তথ্য প্রাপ্তির প্রাথমিক উপায়, তাই শিক্ষক যখনই সুযোগ পাবে তখনই ভিজ্যুয়াল এইডগুলি ব্যবহার করবে।   শিক্ষকের আলোচনা বা ধারণাগুলিকে চিত্রিত করার জন্য পোস্টার, চার্ট, ফ্ল্যাশ কার্ড, ছবি, ম্যানিপুলিটিভস, গ্রাফিক সংগঠক, শিল্পকর্ম বা যেকোনো ভিজ্যুয়াল আইটেম ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন। শ্রবণশক্তি হারানো কিছু শিক্ষার্থীর শব্দ পরিবর্ধন সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।  শিক্ষককে খেয়াল করতে হবে যে শিক্ষার্থীরা সরঞ্জামের কাছাকাছি বসে আছে এবং প্রশস্ত কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছে কিনা! যদি শিক্ষক সাধারণত একটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন, তাহলে গ্রুপ আলোচনার সময় এটি পাস করা উচিত। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষ অভিযোজন এবং IEP (ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা) মধ্যে সমস্ত প্রতিষ্ঠিত নির্দেশিকা অনুসরণ করানো।  শিক্ষকের সাহায্যের প্রয়োজন হলে স্কুল বা জেলার সাথে যোগাযোগ করতে ভয় পাবেন না। একজন দোভাষী ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন যদি শিক্ষার্থী আমেরিকান সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ জানে এবং ক্লাস চলাকালীন এটি ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

৫। অগ্রগতির নিয়মিত মূল্যায়ন পদ্ধতি :

 শিক্ষকদের জন্য সমস্ত শিক্ষার্থীর অগ্রগতি এবং বোঝার নিরীক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে বিশেষ করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য।  শিক্ষকদের অবশ্যই শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে এবং যতটা সম্ভব নিবিড়ভাবে IEP অনুসরণ করতে হবে।  প্রতিদিনের কাজ এবং অ্যাসাইনমেন্টে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি নিরীক্ষণ করা এবং শিক্ষার্থীর কাছে তাদের বোঝাপড়া বা বিভ্রান্তি হতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা। পিতামাতা এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা এবং সফল হয়েছে এমন ধারণা এবং কৌশলগুলি সম্পর্কে তাদের ডিটেইলসে বলা।  প্রয়োজনে, শিক্ষার্থীদের কাজ, অংশগ্রহণ এবং অগ্রগতি, যেমন একটি দৈনিক এজেন্ডা নিরীক্ষণ করার জন্য পিতামাতার সাথে একটি সিস্টেম স্থাপন করা।



৬। IEP:

ব্যক্তিগত শিক্ষা পরিকল্পনা 


IEP(Individualized Education Programme) হলো একটি লিখিত প্রোগ্রাম যেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য IEP অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে IEP একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণ কৌশল।




৭। সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার: 

 সহায়ক প্রযুক্তি(হেয়ারিং এইড)


বর্তমান সময়ে অনেক শ্রেণীকক্ষ এখন ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড (IWBs) এবং সাউন্ডফিল্ড অ্যামপ্লিফিকেশন সিস্টেমের মতো প্রযুক্তিতে সজ্জিত। যদি শ্রেনিকক্ষে এই প্রযুক্তিগুলির বা অনুরূপ কিছুতে অ্যাক্সেস থাকে তবে অবশ্যই শ্রেণি কক্ষে প্রয়োগ করতে হবে। আর এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহারের কারনে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অনেক উপকৃত হবে। যেমন:

FM System, Closed Captioning,Argumentative and Alternative Communication, Speech to text etc

শিক্ষকের ভূমিকাঃ

Teacher Role


শিক্ষক-শিক্ষিকার সক্রিয়তা, বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি হল গুরুত্বপূর্ণ। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকার ভূমিকাগুলি নিম্নলিখিত -


(১)  শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও প্রাক্ষোভিক বিকাশে বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ ও পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন, যথাক্রমে ওষ্ঠ পঠন, অডিটরি ট্রেনিং, ইঙ্গিত ভাষা ইত্যাদি।

(২) IEP অর্থাৎ Integrated Education Programme-এর অধীন বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের জানাবেন।


(৩)  বিশেষজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সমন্বয় প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।

(৪)  বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে যাতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন পুস্তক ও পত্রিকা থাকে তার ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেষ্ট হতে হবে।

(৫)  পাঠদানের সময় শ্রেণিকক্ষে Overhead Projector (OHP)-এর ব্যবহার বেশি করেন। এ ছাড়া চার্ট, ব্ল্যাকবোর্ড ব্যবহার করবেন।

(৬) শ্রেণিকক্ষ এমন হবে যাতে বাইরের কোলাহল ভিতরে না আসে।

(৭)  পাঠ পরিকল্পনার সময় সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কথা মনে রেখে তৈরি করতে হবে।

(৮) শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সামনের সারিতে বসাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।

(৯)  শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠ বুঝতে বা পাঠগ্রহণ করতে কোন অসুবিধা হলে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকার পরামর্শ নেবেন।


আরো পড়ুনঃ

ব্যতিক্রমধর্মী শিশু কি? ব্যতিক্রমধর্মী শিশুর বৈশিষ্ট্যসমূহ কি কি?।Definition of Exceptional Child। Charracteristics of Exceptional Child ।।



শেষ কথাঃ

আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরকে কখনো স্বাভাবিক শিশুদের থেকে আলাদা করে দেখবো না। কারণ একটা স্বাভাবিক শিশুরা সমাজে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। তাই আমরা এদেরকে সকলক্ষেত্রে সমান দৃষ্টিতে দেখার মাধ্যমে এদের অধিকার সঠিক ও সুন্দরভাবে অর্জন করতে সাহায্য করি।


আমি শাহরিয়ার তানজিদ শাওন। আমি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ🌺



কোন মন্তব্য নেই

Blogger থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.