Alienation -বিচ্ছিন্নতাবাদ

 Allienation_Karl Marx



কাল মর্ক্স ১৮১৮ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহন করেন।কার্ল মার্ক্স  সমাজবিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় অনেক বড় অবদান রেখেছেন । বিশেষ করে পূজিবাদিতত্ত্ব ও দ্বন্দমূলক তত্ত্বে গুরুপ্তপূল ভূমিকা রাখেন।
তার বিখ্যাত সন্থগুলো হলো:
1. Economic and philosophic. Manuscripts of (1844)
 

2. The Holy family

3. The poverty of philosophy

4.Grundrisse (1857)
 

Alienation -বিচ্ছিন্নতাবাদ:

পুজিঁবাদী সমাজ কাঠামোর কারণে মানবীয় গুণাবলির বিকৃতিকে Alienation বলা হয়।
 প্রকৃতিগতভাবে মানুষের ধর্ম হচ্ছে কাজ করা। কিন্তু মানুষ যদি অমানবিক অবস্থায় কাজ করে তাহলে সে অমানুষ হয়ে যায়। LABOR মানে হলো মুক্ত, সচেতন, স্বাধীন, উৎপাদনশীল  এমন মানবীয় কার্যক্রম যেখানে মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলির বিকাশ করতে পারে।

Economic and philosophic. Manuscripts of (1844)  এর ওপর ভিত্তি করে Alienation এর সূচনা হয়।

নির্দিষ্ট সমাজে বা পরিস্থিতিতে মানুষ তার অর্পিত দায়িত্বগুলোর কারনে বা সমাজের কঠোরতার কারণে নিজের কাছে নিজে অপরিচিত হয়ে ওঠে বা নিজেকে চিনতে পারে না।
# Estranged or alienated labour = যেখানে শ্রমিক কে জোরপূর্বক কাজ করানো হয় এবং শ্রমিক তার জীবনের কোনো অর্থ খুজে পায় না এছাড়াও এখানে সুখ বা তৃপ্তি নেই। শ্রমিকের চাহিদা, সন্তুষ্টি, স্বাধীনতার কোনো গুরুত্ব নেই এবং শ্রমিকের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের কোনো সুযোগ নেই।অন্যের অধীনস্থ হিসাবে কাজ করতে হয়। শ্রমিক এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করে না। কেবল শারিবীক বা আর্থিক চাহিদা পরণের জন্য করে থাকে।রাজনৈতিক অর্থনীতিতে এটি শুধুমাত্র মজুরি উপাজনের মাধ্যম।

Structural Roots of Alienation

  1. পুজিবাসী সমাজ এমন বক্তি তৈরি করে যে নিজেকে বিচ্ছিন্ন হিসাবে মনে করে। 
  2. পুজিজিবাদী সমাজের গঠন কাঠামোই হলো সমাজকে বিচ্ছিন্ন করা।

 Polarization of Society

 শ্রমিক (সর্বহারা)                  

  1. শ্রমিকের শ্রম, সময় মালিকের জন্য বিক্রি করতে বাধ্য। 
  2. শ্রম, শ্রমিকের উৎপাদন মালিকের।
  3. পণ্যের মালিকানা থাকেনা। 


পুজিবাদী(বুর্জেয়া)

  1. শ্রমিক নিয়োগ করে;
  2. নিজস্ব উপায়ে উৎপাদন করে;
  3. পণ্যের মালিক সে নিজে।

Components/Types/Manifestations of Alienation


  Alienation

            উৎপাদনশীল কার্যকলাপ থেকে


 পণ্য থেকে


নিজের সহকর্মীদের কাছ থেকে


মানুষের মানবীয় সত্বা থেকে

 

উপরোত পদ্ধতিতে Alienation অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবদ ঘটে থাকে।

 

Alienation from productive Activity

পুজিঁবাসী সমাজে শ্রমিকরা তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কাজ করেনা। বরং পুজিপতিদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কাজ করে। পুজিপতিরা শ্রমিকদেরকে জীবিকা নির্বাহপর জন্য অল্প কিছু মজুরি প্রদান করে।শ্রমিক ও পুজিপতি উভয়ই বিশ্বাস করে যে মজুরি প্রদানের মানে হলো উৎপাদশীল কার্যকলাপ পুজিঁপতিদের অন্তর্গত। কারণ প্রতিটি কাজেই  পুজিপতিরাই সিদ্ধান্ত নেয় কি উৎপাদন করা হবে? কিভাবে উৎপাদন করা হবে এবং কি দ্বারা উৎপাদন করা হবে?সুতরাং আমরা বলতে পারি শ্রমিকরা প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে উৎপাদমশীল কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন। 

Alienation from the product

 শ্রমিকদের শ্রমের পণ্য নিজেদের জন্য নয়। বরং শ্রমিকদেরকে কিছু মজুরি প্রদানের মাধ্যমে পণ্য মালিক নিয়ে নেয়।
 পণ্য পুজিপতিদের জন্য প্রযোজ্য । তারা তাদের ইচ্ছামতো পণ্য ব্যবহার করতে পারে এবং অর্থ লাভের জন্য এটি বিক্রিও করতে পারে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা অনেক জায়গায় জ্ঞানের অভাববোধ করে থাকে। অনেক কর্মী অত্যন্ত বিশেষায়িত হিসেবে কাজ করে। যার ফলে মোট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এসকল শ্রমিকদের ভূমিকা সামান্য ধরা হয়।

Alienatim from fellow workers

 কাল মার্ক্স এর অনুমান ছিল মানুষ বেচে থাকার জন্য যেসকল কাজ করার প্রয়োজন অনুভব করে তা সহযোগীতামূলকভাবে করে থাকে। কিন্তু পুজিবাসী সমাজে এই সহযোগীতামূলক মনোভাব থাকে না। কারণ অধিকংশ সহকর্মী অপরিচিত এবং পুজিপতিদের সন্তুটির জন্য শ্রমিকরা প্রতিযোগীতা করে থাকে। এমনকি শ্রমিকরা যদি  বন্ধুও হয় প্রযুক্তির ভিন্নতার কারণে শ্রমিকদের মধ্য বিচ্ছিন্নতার তৈরি হয়। শ্রমিকদের মধ্যে সরাসরি প্রতিযোগীতা সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এই প্রতিযোগীতা সংঘাতের সৃষ্টি করে। পুজিপতিরা একজন শ্রমিককে আরেকজনের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দেয় এবং বলে যে কে বেশি উৎপাদন করতে পারে?কে দ্রুত কাজ কাজ করতে পারে?কে বসকে সষ্ট করতে পারে?


Alienation from Man's species Bieng

 species being বলতে মানুষকে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আধ্যাত্মিক গুনাবলির এক বিশেষ প্রানি হিসেবে বোঝায় এবং মানুষের এইসকল বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক গুণাবলি মানুষকে অন্য সকল প্রানি থেকে আলাদা করে। মানুষের কাজগুলো হলো স্বাধীন এবং তার কাজের পরিবেশ সে নিজে নিয়ন্ত্রন করে। পুঁজিবাদী সমাজে মানুষকে মানুষের মত করে  মুল্যায়ন করা হয় না।মানুষকে তার কাজের মাধ্যমে মূল্যয়ন করা হয়।অথবা অমানবিক পশুর মত করে বা যন্ত্রের মত করে মূল্যয়ন করা হয়।এর ফলে প্রকৃতি এবং অনন্য মানুষের সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েএবং সে তার মানবীয় গুণাবলি প্রকাশ করতে অক্ষম  হয়ে পড়ে। এবং বিচ্ছিন্ন শ্রমিকে পরিণত হয়। শ্রমিকদের মধ্য যার সফল হয় তাদেরকে অল্প কিছু বোনাস দেওয়া হয় । এবং যারা ব্যর্থ হয় তাদেরকে কাজ থেকে বাতিল করা হয়। আর এভাবেই শ্রমিকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা  এবং শত্রুতার সৃষ্টি হয়।

Capitalist Goal: পুজিবাদিদের লক্ষ

1. সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা বের করা।
2. শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগীতামূলক সম্পর্কের বিকাশ রোধ করা।

 

Distortions Resulting from Alienation

 পুজিঁবাদি সমাজে শ্রমিকরা/দরিদ্ররা মানবীয় কার্যকলাপ হতে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে।

 "টাকার কাছে মানবতা বন্দী হয়ে পরে। টাকার মাধ্যমে যা আসে তা হচ্ছে আমার। টাকা হচ্ছে এমন জিনিস যার মাধ্যমে আমি pay করতে পারি। এটাই হচ্ছে আমি। টাকার শক্তির পরিধিই হচ্ছে আমার ক্ষমতার পরিধি। টাকার সম্পত্তিই আমার সম্পত্তি।  যাই হোক, আমি কী, কী করতে সক্ষম তা কোনো ভাবেই আমার বক্তিত্ব দ্বারা নির্ধারিত হয় না। আমি কুৎসিত কিন্তু আমি আমার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারীকে কিনতে পারি। যার ফলে আমি কুৎসিত/ অসুন্দর নয়। কুৎসীতার প্রভাব অর্থের কাছে অকার্যকর । আমি খোড়া, কিন্তু অর্থ আমাকে পা দান করে । যার ফলে আমি খোড়া নই। আমি খারাপ, অসৎ, বেঈমান, বোকা কিন্তু অর্থ আমাকে সাম্মানিত করে। অর্থ সম্মানিত তাই অর্থ তার মালিককে সম্মানিত করে। টাকা হচ্ছে সর্বোত্তম সুতরাং টাকার মালিকও সর্বোত্তম। টাকায় আমাকে অসৎ হতে মুক্তি প্রদান করে। তাই আমি মনেকরি আমি সৎ। আমি নির্বোধ  কিন্তু টাকা হলো আসল বুদ্ধিমান। তাহলে টাকার মালিক কীভাবে নির্বোধ হয়? টাকার মালিক মেধাবিদের কিনতে পারে আর যে মেধাবিদের ওপর ক্ষমতা রাখে সে কি মেধাবিদের চেয়ে মেধবি নয়? মানুষের মন যা চায় তা সে সবকিছূই টাকার মাধ্যমে পূরন করতে পারে।যার টাকা আছে সে কি মতাধর নয়? অর্থই কী আমার সকল অক্ষমতাকে সক্ষমতায় রূপান্তর করেনা?"-The economic and philosophic manuscripts of (1844)

*প্রথমত, উৎপাদন  কাঠামো শ্রমিকদেরকে তাদের ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য করা হয় এবং তাদেরকে পঙ্গু দানবে পরিনত করা হয়।
* দ্বীতিয়ত, শ্রমিকদেরকে হাত ও মাথার কাজে সমন্বয় করতে পুজিবাদি সমাজ বাধা প্রদান করে। শুধুমাত্র কিছু লোককে মাথার কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয় । আর বেশিরভাগকেই হাতের কাজ করতে হয় যা মানসিক উন্নয়ন বর্জিত।
* তৃতীয়তঃ এই বিশেষায়িত কাজ বারবার করার ফলে শ্রমিকদের মধ্য একঘেয়েমির সৃষ্টি হয়।
* ফ্রেডরিক এজেল (১৮২০-১৮৯৫) – জার্মান সমাজবিজ্ঞানি বলেন-কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একই কাজ করতে বাধ্য হওয়ার চেয়ে ভয়ানক আর কিছু নেই। এমন বিচ্ছিন্নতা একঘেয়েমি তার কাজকে অত্যাচারে পরিনত করে।
* চতুর্থতঃ মানুষ আর সৃজনশীল মানুষ থকেন।। বস্তুর মালিকানা ও অধিকারী হওয়ার দিয়ে মনোযোগী থাকে না। মানুষ পশুর মতো কাজ করতে শুধু করে।
* মানুষ (শ্রমিক) কেবল তার পশুরমতো কাজগুলোত স্বাধীনতা চায়। যেমন: খাওয়া, পান করা, বাসস্থান পোশাক পরিচ্ছদ, প্রজনন ইতাদিতে । মানুষ তার মানকিক কাজগুলোতে নিজেকে পশু ছাড়া আর কিছু মনে করে না । যা পশু তা মানুষ, যা মনুষ তা পশু।* পুজিবাদ হলো বাস্তবার উল্টো/বিপরীত।
* Resolution of Alienatim: বিচ্ছিন্নতাবাদের সমাধানঃ
 * ব্যক্তিগত সম্পত্তি কমানো।
 * উৎপাদন কার্যক্রমে শোষন না করা। (পুজিবাদ)
 * মানতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। 

লিখেছেনঃ মো: শাকিল আহমেদ


 সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার আমি মোঃ শাকিল আহমেদ। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পড়াশোনা করছি।অন্যের জন্য কিছু করতে ভাল লাগে।তাই আমার লেখাগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই যেন অন্যরা উপকৃত হতে পারে। জাযাকাল্লাহ।

 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.