যে ১০ টি উপায় অতিরিক্ত খরচ কমাবে আপনার| 10 ways to save money||
বর্তমান সময়ের আমাদের তরুণ সমাজের ভেতরে অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা হলো টাকা। একেইতো টাকা নিয়ে সমস্যা তারপরে আবার টাকার সঠিক ব্যবহার করতে না পারা। অর্থাৎ আমরা টাকা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারিনা। আমরা অযথাই টাকার অপচয় করি আমাদের অপ্রয়োজনীয় কাজে। দিনশেষে আমাদের একটাই সমস্যা থেকে যায় আমরা টাকা সঞ্চয় করতে পারি না। তো আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাতে চলছি এমন ১০ টি উপায় সম্পর্কে যেগুলো আপনি ফলো করলে আপনার অতিরিক্ত খরচ বাঁচবে এবং একইসাথে আপনার টাকা সঞ্চয়ও হবে। তো চলুন জেনে নেই সেই ১০ টি সিক্রেট উপায় সম্পর্কে।
১। সঠিক কারন জানুন(কেন খরচ কমাতে চান):
আমরা সবাই প্রতিদিন একবার হলেও চিন্তা করি যে আমরা আজকে থেকেই অপ্রয়োজনীয় খরচ করবো না কিন্তু তবুও খরচ করেই ফেলি। এই বাববার একই ভুল করার মূল কারণ হলো পরিকল্পনা বা লক্ষ্য সেট করার অদক্ষতা। যেকোনো কিছু শুরু করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য সেট করে রাখা উচিৎ। তাহলে ওই লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা আগাতে পারবো। সুতরাং টাকা খরচ বা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও একই টেকনিক। আমাদের প্রথমেই লক্ষ্য সেট করে রাখতে হবে যে কোন পারপাসে আমরা টাকাটা জামিয়ে রাখবো। মনে করুন আপনি একটা বাই সাইকেল কিনবেন তার জন্য আপনার টাকা সঞ্চয় করতে হবে। সো এই বাইসাইকেল কেনাটাকে আপনার লক্ষ্য হিসেবে সেট করে রাখতে পারেন। তাহলে আপনি পূর্বের তুলনায় অনেক কম অপ্রয়োজনীয় কাজে টাকা খরচ করবেন।
২। রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুনঃ
আমরা যদি আগের ব্যাপারটাকেই তুলে নিয়ে আসি তাহলে আমাদের এই রিমাইন্ডার ব্যাপারটি তুলনামূলকভাবে বুঝতে বেশ সুবিধা হবে। আপনিতো আপনার লক্ষ্য সেট করে রাখলেনই যে আপনি টাকা জমাবেন আপনার বাইসাইকেল কেনার জন্য। সো আপনি এখানেই সবচেয়ে বড় বেনিফিটটা পাবেন। কারণ আপনি আপনার মানিব্যাগ, পার্টস,ভ্যানিটি ব্যাগে রিমাইন্ডার হিসেবে লিখে রাখতে পারেন যে আপনার বাইসাইকেল কিনতে হবে,তাহলে যখনই অতিরিক্ত খরচ করতে চাইবেন তখনই আপনি আর খরচ করতে পারবেন না।
৩। আপনি প্রতিদিন কোন কোন খাতে টাকা খরচ করেন সেগুলো সনাক্ত করুনঃ
আমরা প্রতিনিয়ত নিয়ম করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকা খরচ করেই যেতে থাকি আসলে। আমাদের আগে বুঝতে হবে কোন খাতে টাকাটা খরচ করা আমাদের জন্য দরকারি। তাই অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচতে আপনি প্রথমে খুঁজে বের করুন কোন কোন লক্ষেত্রে আমাদের খরচ বেশি হচ্ছে বা আমরা খচ করতেছি।
৪। অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ করা বন্ধ করে দিনঃ
আপনিতো খুঁজে বের করলেনই যে আপনি কোন কোন খাতে প্রতিদিন টাকা খরচ করেন। তো এখন আপনার কাজ হলো অপ্রয়োজনীয় খরচের খাতগুলো খুঁজে বের করা। এখন আপনি যখনই খরচ করবেন তখনই এই ফাইন্ড আউট করা অপ্রয়োজনীয় খাতে আর কখনোই খরচ করবেন না। বেশ হয়ে গেল অনেকটাই আপনার খরচ সাশ্রয়।
৫। প্রায়োরিটি লিস্ট তৈরি করে রাখুনঃ
এখানে প্রায়োরিটি লিস্ট বলতে বোঝাতে চা্চ্ছি মাসের শুরুতে আপনার যেসকল খরচসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে করতেই হবে সেগুলো। যেমনঃ বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল,গ্যাস বিল,ইন্টারনেট বিল প্রভৃতিসমূহকে আপনি সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিবেন। মাসের শুরুতে টাকা হাতে আসার সাথে সাথেই প্রায়োরিটি লিস্টের পাওনাগুলো মিটিয়ে ফেলবেন। সারামাসের জন্য আপনি জাস্ট টেনসন ফ্রী। তখন আপনার যে টাকাগুলো অগ্রিম টাকা থাকবে সেগুলো দিয়ে সারাটামাস ভালোই কাটিয়ে দিতে পারবেন।
৬। ভাঙতি টাকা পকেটে কম রাখুনঃ
আমি পার্সোনালি মনে করি এই ট্রিক্সটা বেশ ভালোই কার্যকর। আপনি মিলিয়ে নিয়েন আপনার সাথে যে আপনার কাছে যখন হাজার টাকার বা ৫০০ টাকার নোট থাকে তখন খুব শ্রীঘ্রই এই টাকাটা খরচ হয় না। কারণ আপনিতো টাকাটা খুচরাই করতে পারছেন না।
Related:সুন্দরভাবে কথা বলতে চান? তাহলে এখনি জেনে নিন এই ১৯ টি কৌশল||
৭। খরচ কমবে নতুন টাকায়ঃ
আমরা স্বাভাবিকভাবেই নতুন জিনিসগুলোর উপর বেশি আকৃষ্ট এবং যত্নশীল থাকি। আমরা কখনোই চাইনা নতুন জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পূরন হয়ে যাক বা শেষ হয়ে যাক। টাকার ক্ষেত্রও ঠিক একই ব্যাপার কাজ করবে আপনার ক্ষেত্রে। কারণ নতুন টাকা থাকলে আপনার ওই টাকার জন্য ভেতরে একটা ভালো লাগা কাজ করবে এবং খরচ করার ক্ষেত্রেও একটু কমপণতা কাজ করবে।
৮। ডেভিড কার্ডের ব্যবহার কমানঃ
আমরা বাঙালিরা এমনিতেই খুব আরামপ্রিয় জাতি। আমরা সর্বদাই শান্তি খুঁজে বেড়াই। তাই কাড ৎাকলে আমরা সর্বদাই এটার ব্যবহার করি এবং অযথাই টাকা কাড থেকে বের করে ফেলি। তাই অতিরিক্ত খরচ কমাতে অবশ্যই আপনার কাডের ব্যবহার কমাতে হবে।
আপনি চািলে এইক্ষেত্রে আরো একটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আর সেটি হলো আপনার কাডে টাকা না রাখা। যখন কার্ডে টাকাই না থাকবে তখন খরচের কথা প্রশ্নই আসে না।
৯। আড্ডা,বিনোদনঃ
আমরা প্রতিমাসেই আড্ডা,ঘোরাঘুরির জন্য অনেক বেশিই টাকা অপচয় করে ফেলি। পরে আবার ঠিকই আফসোস করি এই ভেবে যে, আহ! এতগুলো টাকা কখন ফুরিয়ে গেল । তাই আমরা যদি এই বিষয়গুলোর প্রতি একটু নমনীয় হই তাহলেই আমরা দিনশেষ আমাদের অনেক অতিরিক্ত খরচ বাচাতে পারবো এবং আমাদের অল্প হলেও সঞ্চয় হবে ইনশাআল্লাহ।
১০। নেট বিল কমানোঃ
আমরা ইদানীং রুমে ওয়াইফাই থাকা সত্ত্বেও নেট কিনে থাকি অতিরিক্ত ব্যবহার করার জন্য। যেটা একদমই বিলাসিতা। আসলে এই খরচটা আমাদের কন্য অতিরিক্ত। তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করবো ইন্টারনেট কেনার পিছনে কম টাকা খরচ করা।
আশা করি আপনি যদি এই দশটি উপায় সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন দৈনন্দিন জীবনে তাহলে অবশ্যই আপনার অতিরিক্ত খরচ কমবে এবং প্রতিমাসে আপনার সঞ্চয়ের পরিমানও বাড়বে।
Written By:Shahriar Tanzid Shaon
![]() |
SHAON |
কোন মন্তব্য নেই