জন্ম-পরবর্তী বিকাশ || Post-natal Development ||
Chapter 4: Post-natal Development (জন্ম-পরবর্তী বিকাশ
The Newborn Baby and Infancy
Types of Birth:
জন্ম চার প্রকার। যথা
১। Normal Birth/ স্বাভাবিক প্রসব
২। Instrumental/Forceps Birth ফরসেপ প্রসব
৩।Breech Birth/ ব্রীচ বার্থ
8। Caesarian Birth /সিজারিয়ান প্রসব
২, ৩ ও ৪ নম্বরকে জটিল প্রসব বলে।
প্রসবের সময়কালীন ৬টি অবস্থা শিশুর সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। যথাঃ
১।
প্রসবের প্রকৃতিঃপ্রসবের প্রকৃতি শিশুর সুস্থতার উপর অনেক বেশিই প্রভাব
ফেলে। কারণ বাচ্চাটি যদি স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করে তাহলে দেখা যাবে যে
বাচ্চার স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠবে। কিন্তু বাচ্চাটি যদি সিজার বা ফরসেপ
বার্থ প্রক্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তাহলে ওই শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা
দিতে পারে। তাই প্রসবের প্রকৃতি বড় ধরণের একটা ফ্যাক্ট।
২। ভ্রুণের সময় ও পরিণতি
৩| Anoxia
৪। অষুদের প্রভাব
৫। মস্তিষ্কে আঘাত
৬। মায়ের স্বাস্থ্য ও অসুস্থতা
মায়ের স্বাস্থ্য ও সুস্থতায় জরুরি:
সন্তানের
মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থায়ই শুরু হয়। সে জন্য এ সময় দরকার
মায়ের বাড়তি যত্ন। খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুটির
মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয়। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের
গর্ভাবস্থায়ই শুরু হয়। সে জন্য এ সময় দরকার মায়ের বাড়তি যত্ন।
খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুটির মস্তিষ্কের বিকাশ
সঠিকভাবে হয়। যেমন
প্রোটিনযুক্ত খাবার
গর্ভাবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন ডিম, মাংস, মাছ, বিনস, পাঁচমিশালি ডাল, সিড নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়।
আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড
কলা,
শুকনো ফল, পুদিনাপাতা, সবুজ শাকসবজিতে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড আছে, যা
গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া
গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড সেবন অনাগত সন্তানের জন্মগত ত্রুটি
প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার
সাধারণত গর্ভধারণের চতুর্থ মাস থেকে
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় বেশি রাখতে হবে। কুমড়ার
বিচি বা সূর্যমুখীর বিচি, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল ও
কড লিভার ওয়েলে প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে। সামুদ্রিক মাছে ডিএইচএ এবং ইপিএ
থাকে, যা পরবর্তী সময়ে শিশুর বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলোয়ও কিছু সময় করে থাকতে হবে। খাদ্যতালিকায় দুধ বা দইও রাখতে হবে।
কোলিনযুক্ত খাবার
ডিমের কুসুমে প্রচুর কোলিন রয়েছে। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোলিনের বিকল্প নেই।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার
সবুজ
শাকসবজি বিশেষ করে পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, টমেটো, বিনস দৈনন্দিন
খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এগুলোয় লুটেইন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদাম, কালোজামও
খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়। এগুলোয় বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
ভিটামিন ডিযুক্ত খাবার
পনির,
গরুর মাংস, কলিজা—এই জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। গর্ভাবস্থায়
মায়ের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয়
না। এ জন্য গর্ভবতী মাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত
সূর্যের আলোয়ও কিছু সময় করে
মাতষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে। বাদাম, কালোজামও যেতে পারেন গভাবস্থায়। এগুলোয় বিদ্যমান
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
ভিটামিন ডিযুক্ত খাবার
পনির
গরুর মাংস, কলিজা – এই জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ
সঠিকভাবে হয় না। এ জন্য গর্ভবতী মাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ার
পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলোয়ও কিছু সময় করে থাকতে হবে। খাদ্যতালিকায়
দুধ বা দইও রাখতে হবে।
কপার ও জিঙ্ক
খাদ্যতালিকায়
কপারসমৃদ্ধ খাবার যেমন কাজুবাদাম, অ্যাভোকেডো, মটরশুঁটি, বিনস, বিট
জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার যেমন শস্যজাতীয় খাবার, ছোলা, গরুর মাংস পরিমাণমতো রাখতে
হবে। এতে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের কোষ সঠিকভাবে বাড়ে।
আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার
সন্তানের
বুদ্ধিমত্তার বিকাশে আয়োডিন খুবই জরুরি। এ জন্য খাবারের তালিকায়
প্রতিদিন আয়োডিনযুক্ত লবণ রাখতে হবে। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, কলিজা, গলদা
চিংড়ি, ভুট্টা খেতে পারেন।
Medical and Behavioural Assessment of Newborn Baby
Medical Assessment:
১। আকার/ Size
২। ওজন/ Weight
৩। শিশুর জন্মগত ত্রুটি
৪। প্রসবকালীন আঘাত
৫। সুস্থতার পরিমাপ
Virginia Apgar Report
রিপোর্টটি নিচে আলোচনা করা হলোঃ
লক্ষণ |
Score 0 |
Score 1 |
Score 2 |
হৃদস্পন্দনের গতি |
অতিক্ষীণ |
|
১০০ এর উপরে (১২০-১৮০ স্বাভাবিক) |
শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি |
নেই |
|
ভালো, শিশু কাঁদে |
পেশীর টান |
দুর্বল |
|
হাত-পায়ের সক্রিয় সঞ্চালন |
সহজাত প্রতিবর্তী ক্রিয়া |
প্রতিক্রিয়া নেই |
সামান্য |
সক্রিয় প্রতিক্রিয়া ও কান্না |
গায়ের রং |
ফ্যাকাশে |
|
রক্তাভ |
Behavioural Assessment: সার্বিক চেহারা
নবজাতকের বৈশিষ্ট্য:
১। নবজাতকরা মাতৃগর্ভে ১০০ডিগ্রী ফারেনহাইটে হতে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে কষ্ট হয়।
২। টয়লেট করার প্রয়োজন শিশুকে বিব্রত করে।
৩। শ্বাস নেওয়া, খাওয়া, অঙ্গ সঞ্চালন, শক্ত জিনিসের স্পর্শ ইত্যাদি শিশুকে অস্বস্তি দেয়।
৪। জোরে শব্দে ভয় পেয়ে চমকে ওঠে, তীব্র আলো, ঠাণ্ডা-গরমে বিরক্ত হয়।
৫। এসময়ে শরীরের তুলনায় মাথা বড় থাকে।
৬। নাভী কাটলে কান্নার ফলে অক্সিজেন গ্রহণ শুরু হয়।
৭।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজন, উচ্চতা, আয়তন, অঙ্গ, শরীর বাড়ে। তবে এ সময়
বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়না।হবে ছোটবেলা থেকেই। নিয়মিত ব্যায়াম,
শারীরিক খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক উভয় বিকাশকেই ত্বরান্বিত করে।
শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বিলম্ব হচ্ছে কি না, তা কীভাবে বুঝবেন?
১ম মাসে
শিশুর
মাথা একদিকে ফিরিয়ে চিত হয়ে শোয়া। হঠাৎ আওয়াজে চমকে যায় বা শরীর
স্থির হয়ে যায়। হাতের মুঠো বন্ধ করে থাকে। বাচ্চার হাতের তালুতে কিছু
ছোঁয়ালে সেটা ধরার চেষ্টা করে।
২-৩ মাসে
নিজের মাথা স্থির
করতে শিখো চোখের দৃষ্টি কোনো জিনিসের ওপর স্থির করতে পারে। চিত হয়ে শুয়ে
বাচ্চা দুই হাত-পা সমানভাবে নাড়ে। তার নড়াচড়া ঝাঁকুনি দিয়ে বা অসংবদ্ধ
হয় না। কান্নার আওয়াজ ছাড়াও বাচ্চা মুখ দিয়ে নানা রকম আওয়াজ করে।
শিশুটি তার মাকে চিনতে পারে এবং তার গলার আওয়াজে সাড়া দেয়।
৬ মাসে
আশপাশে
শব্দ শুনলে মাথা ঘোরায়। চিত থেকে উপড় বা উপড় থেকে চিত হতে পারে। ঠেকা
দিয়ে অল্প সময়ের জন্য বসতে পারে। শিশুকে উঁচু করে ধরলে পায়ে কিছু ভার
নিতে পারে। উপুড় হয়ে শুয়ে হাত-পা ছড়িয়ে নিজের শরীরের ভার নিতে পারে।
৯ মাসে
কোনো অবলম্বন বা ঠেকা ছাড়া কিছু না ধরে বসতে পারে। হাঁটু ও হাতের ওপর ভর করে হামাগুড়ি দিতে পারে।
১২ মাস
বাচ্চা ঠেলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। 'মামা' বলতে শুরু করে। আসবাব ঘরে বাচ্চা হাঁটতে
পারে।
৯ মাসে
কোনো অবলম্বন বা ঠেকা ছাড়া কিছু না ধরে বসতে পারে। হাঁটু ও হাতের ওপর ভর করে হামাগুড়ি দিতে পারে।
১২ মাস
বাচ্চা ঠেলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। মামা বলতে শুরু করে। আসবাব ধরে বাচ্চা হাঁটতে পারে।
১৮ মাস
সাহায্য
ছাড়াই একটা গ্লাস ধরতে পারে এবং তার থেকে পানি পান করতে পারো সাহায্য
ছাড়াই হাঁটতে পারে। দু-একটা শব্দ বলতে পারে। নিজে নিজে খেতে পারে।
২ বছরে
পায়জামা
ধরনের কিছু জামাকাপড় খুলে ফেলতে পারে। না পড়েই দৌঁড়াতে পারে। ছবির
বইয়ের ছবিতে বাচ্চা আনন্দিত হয়। বাচ্চা কী চায় বলতে পারে। অন্যদের বলা
কথা বাচ্চা নকল করতে শুরু করে। তার শরীরের কিছু কিছু অংশ চেনাতে পারে।
৩ বছরে
হাত
তুলে কাঁধের ওপর থেকে বল ছুড়তে, সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে,
যেমন তুমি ছেলে না মেয়ে? অন্তত একটা রঙের নাম বলতে পারে।
৪ বছরে
সাইকেলে প্যাডেল করতে পারে, বইয়ে, পত্রিকায় বা ম্যাগাজিনের ছবির নাম বলতে পারে।
৫ বছরে
তার
জামাকাপড়ের বোতাম লাগাতে, অন্তত তিনটি রঙের নাম বলতে পারে। পা বদল করে
সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারে। বিকাশের ভরগুলোর মধ্যে কয়েকটি যদি শিশুর মধ্যে
প্রকাশ না পায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণভাবে এই
দক্ষতাগুলোর মধ্যে ২৫ শতাংশ প্রকাশ না পেলে বা দেখা না গেলে শিশুর বিকাশে
বিলম্ব হচ্ছে বলা হয়।
Courtesy
Collected By:Shahriar Tanzid Shaon
![]() |
SHAON |
কোন মন্তব্য নেই