ভাববাদ (Idealism) ও শিক্ষা ||

ভাববাদ Idealism


দর্শনের ইতিহাসে ভাববাদ একটি প্রাচীনতম ও সুপ্রতিষ্ঠিত মতবাদ। এমতবাদের মূল কথা হল জগতের মূলসত্তা এক পরমভাব বা চেতন সত্তা (Absolute Idea ) ।

ভাববাদের নানা প্রকারভেদ থাকলেও মোটামুটি সকল ভাববাদী এই তত্ত্বে বিশ্বাসী যে জগতের মূলসত্তা ভাব বা Idea । দৃশ্যমান জগতের জীব ও জড় পরম সত্তা বা পরম ভাবেরই প্রকাশ। সসীম মনের কাজ হল সেই পরম ভাবকে উপলব্ধি করা। ভাববাদের ইতিহাস দর্শনের ইতিহাসের মতো প্রাচীন। Plato থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বিভিন্ন দেশে ভাববাদ চর্চা হয়ে আসছে।

 





ভাববাদী শিক্ষাদর্শন

শিক্ষাক্ষেত্রে যারা ভাববাদ প্রয়োগ করেন তাদের মধ্যে Plato Kant, Froebel. Rabindranath, Mahatma Gandhi উল্লেখযোগ্য। Plato তার "Republic" গ্রন্থে আদর্শ রাষ্ট্রের শিক্ষার যে রূপরেখা প্রণয়ন করেন তাঁতে ভাববাদী দর্শনের প্রতিফলন দেখা যায়। তখন থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত অনেক ভাববাদী দার্শনিক শিক্ষায় ভাববাদের প্রয়োগ করেন। ভাববাদী শিক্ষাদার্শনিকরা মানুষ ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে এক ভাবমূলক সত্তার অংশ হিসাবে বিবেচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, মানুষ একটা আধ্যাত্মিক সত্তা নিয়ে জন্মায়। শিক্ষার মাধ্যমেই হবে তার প্রকৃত আত্মোপলব্ধি। যার ফলে সে পরম সত্তার পরম ভাবকে পাওয়ার পথে এগিয়ে যাবে। ভাববাদীরা শিক্ষার শুধু তাত্ত্বিক দিকের উপর প্রভাব বিস্তার করেননি, তারা শিক্ষার সমস্ত অঙ্গকেই নিজেদের চিন্তাধারার প্রেক্ষিতে ঢেলে সাজিয়েছেন। তাঁদের মতে শিক্ষার আদর্শ হওয়া উচিৎ পূর্ণতা লাভ। শিক্ষার কাজ হবে মানুষের সুপ্ত গুণগুলিকে বিকশিত করে তার পূর্ণ সত্তাকে বিকশিত করা। ভাববাদীদের মতে শিক্ষাব্যবস্থায় সকল রকম শিক্ষার সুষম সমন্বয় সাধিত হওয়া উচিৎ। বৈজ্ঞানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাও শিক্ষা, ব্যবস্থায় স্থান পাবে। যে শিক্ষা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে সহায়ক সেই শিক্ষাই শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

Related:  প্রকৃতিবাদ (Naturalism) ও শিক্ষা ||

ভাববাদের বিচারে শিক্ষার লক্ষ্য

ভাববাদী শিক্ষাদর্শনে শিক্ষার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভাববাদী শিক্ষাদর্শনে শিক্ষার ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় প্রকার উদ্দেশ্যের কথাই বলা হয়েছে। ভাববাদ অনুসারে শিক্ষার কাজ হবে শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত আদর্শ রূপায়নের ক্ষমতাগুলো বিকশিত করা, যাতে সে নিজের জীবনেই সত্য, মূল্য ও আদর্শগুলোকে রূপ দিতে পারে। শিক্ষা ছাড়া এই ক্ষমতাগুলো থাকে নিষ্ক্রিয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে এই মূল্য ও আদর্শগুলো সম্বন্ধে ব্যক্তিকে সচেতন করা। উন্নততর নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষার্থীর চিন্তাকে জাগিয়ে তোলা।

ভাববাদী শিক্ষাদার্শনিকদের মতে শিক্ষার লক্ষ্য হল আত্মোপলব্ধি। শিক্ষার আত্মোপলদ্ধির লক্ষ্য থেকে ব্যক্তির আত্মবিকাশের তত্ত্বটি স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুত হয়।

 কারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার নিজস্ব সত্তাকে জানতে হলে তার অন্তর্নিহিত পরমাত্মার পূর্ণ বিকাশের প্রয়োজন। সে কারণে ব্যক্তির আত্মোপলব্ধির সাথে আত্মবিকাশের প্রক্রিয়াটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

বিখ্যাত ভাববাদী শিক্ষাদার্শনিক Frocbel শিক্ষার লক্ষ্যের বর্ণনা দিতে আত্ম-উন্মেষের তত্ত্বটি (Theory of unfoldment) উপস্থাপিত করেন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী শিশুর মধ্যে সর্বব্যাপী পরমসত্তা অবিকশিতরূপে নিহিত থাকে। এই অবিকশিত পরমসত্তার পূর্ণ বিকাশ সাধনই শিক্ষার লক্ষ্য। এই প্রক্রিয়াকে Froebel. অনুনোষিতের উন্মেষ (Unfolding of the enfolded) বলে বর্ণনা করেছেন।


ভাববাদী শিক্ষাদার্শনিকদের মতে শিক্ষার লক্ষ্যগুলো নিম্নরূপঃ

আত্মোপলদ্ধি: ভাববাদী শিক্ষাদার্শনিকদের মতে শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হল আত্মোপলব্ধি। জগতের অনিত্যতা হৃদয়ঙ্গম করে সর্বব্যাপী, নিত্য, পরমসত্তার সাথে নিজের অভিন্নতার উপলব্ধিই হল আত্মোপলব্ধি। বিশুদ্ধ জ্ঞান, ভক্তি ও কর্মের মাধ্যমে এই আত্মোপলব্ধি হয়ে থাকে ।

সমৃদ্ধ ও উন্নত জীবন যাপনে শিক্ষার্থীকে সাহায্য করা: ভাববাদী শিক্ষাদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষার্থীকে উন্নত জীবন যাপনে সহায়তা করা। এমন শিক্ষা দিতে হবে। যাতে শিক্ষার্থী উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারে।

উন্নত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করা: মানুষের জীবন দুর্লভ ও মূল্যবান। তাই ব্যক্তির আত্মবিকাশের মাধ্যমে উন্নত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সমন্বিত ব্যক্তিত্ব গড়তে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা শিক্ষার লক্ষ্য।

সৃজনশীল শক্তির বিকাশ: সৃজনশীল শক্তির বিকাশ ভাববাদী শিক্ষাদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য। বিশ্ব-প্রকৃতিতে মানুষের স্থান অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে উপরে। তাই সে পরিবর্তিত পরিবেশকে অন্যান্য প্রাণীর মত নিষ্ক্রিয়ভাবে গ্রহণ না করে নিজের সৃজনশীল শক্তি দিয়ে পরিবেশকে পরিবর্তন করে নিজের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারে।

সার্বজনীন শিক্ষা: আত্মোপলব্ধি শুধু অল্প কিছু মানুষের জন্য নয়। পরমসত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি মানুষের জন্য চাই আত্নোপলব্ধি। তাই ভাববাদী শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য শিক্ষা।

সামজিক উন্নয়নে সচেতন করা: শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, সমাজের অন্যরাও যাতে উন্নত জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য শিক্ষার্থীকে সচেতন করাও শিক্ষার লক্ষ্য।

সুখ ও দুঃখকে উপলব্ধি করতে সহায়তা করা: শিক্ষার্থী যাতে সুখের মহিমা উপলব্ধি করতে পারে এবং দুঃখকে সহজ ও মর্যাদার সথে গ্রহণ করতে পারে সে শক্তি অর্জনে সহায়তা করা ভাববাদী শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য ।

সংস্কৃতির উন্নতি: মানুষ উন্নত সংস্কৃতির স্রষ্ঠা। সংস্কৃতির উন্নতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজনের মধ্যে এর সঞ্চালন শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। শিক্ষা তার কাজের দ্বারা আমাদের পূর্বপুরুষদের সঞ্চিত ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে দেয় এবং নতুন প্রজন্ম এসব অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হয়। তাই সংস্কৃতির উন্নতি সাধন ভাববাদীদের মতে শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।

নৈতিক চেতনার উন্মেষঃ নৈতিক চেতনা আমাদের মধ্যে ভাল মন্দের বিচার করতে শেখায়। শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিক চেতনার সৃষ্টি শিক্ষার মাধ্যমে সম্ভব। তাই শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিক চেতনার উন্মেষ ভাববাদী শিক্ষাদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য।


Related: জোহান ফ্রেডরিক হার্বার্ট ও তার শিক্ষা দর্শন ||

ভাববাদ অনুসারে পাঠ্যক্রম

শিক্ষার লক্ষ্য অনুসারে ভাববাদীরা কাঠ্যক্রম নির্ধারণ করেছেন। ভাববাদীরা মানুষকে সবকিছুর কেন্দ্র বলে মনে করেন। তাই মানুষের নৈতিক, বৌদ্ধিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধনই ভাববাদের লক্ষ্য। যে কারণে ভাববাদী শিক্ষাক্রমে উদার সাধারণ শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সকল বিভাগ থেকে বিষয় নির্বাচিত হয়েছে। ভাববাদীরা ব্যক্তিত্বের সুষম বিকাশের জন্য পাঠ্যক্রমের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন:

(১) শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক উন্নতি সাধনের জন্য পাঠ্যক্রমে সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

২) শিক্ষার্থীর নৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে উন্নতির জন্য নীতিশাস্ত্র এবং ধর্মশাস্ত্র পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শিক্ষার্থীর নান্দনিক বোধের উন্নতির জন্য চারুকলা, কারুকলা, সঙ্গীত,চিত্রাঙ্কন, ইত্যাদি বিষয় পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে ।

৪) শিক্ষার্থীর শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য শারীরিকবিজ্ঞান, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, ব্যায়াম, শরীর চর্চা ইত্যাদি পঠ্যাক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।


ভাববাদী শিক্ষণ পদ্ধতি

শিক্ষার্থীর মধ্যে যে সুপ্ত সত্তা বিদ্যমান, শিক্ষার মাধ্যমে তার বিকাশ ঘটানোই ভাববাদী শিক্ষার প্রধান কাজ । প্রাচীন ভাববাদীদের মতে, শিক্ষণ পদ্ধতি ছিল নিম্নরূপ:

  1.  প্রশ্নোত্তর
  2. আবৃত্তিকরণ
  3.  বক্তৃতা
  4. অনুকরণ

 Related:জোহান হেনরিক পেস্টালজি ও তার শিক্ষাদর্শন।

শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য

ভাববাদী শিক্ষাদর্শনে শিক্ষা প্রক্রিয়ায় মূল ভূমিকা পালন করেন শিক্ষক। শিক্ষক শিশুর বিকাশ ও শিক্ষাদানের সুযোগ এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন। ভাববাদানুসারে শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

  1. শিক্ষক হবেন আদর্শ পরায়ন ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। শিক্ষার্থী তার জীবনদর্শন অনুসরণ করবে।
  2. শিক্ষকতার পূর্বশর্ত হল শিক্ষার্থীকে বোঝা। পাঠ্যবিষয় ভালভাবে না বুঝলে যেমন পাঠদান করা যায় না। তেমনি শিক্ষার্থীকে না বুঝলে শিক্ষাদান নিরর্থক। তাই শিক্ষক এমন হবেন যিনি শিক্ষার্থীকে বুঝতে পারেন ।
  3. শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর ভাল বন্ধু ।
  4. শিক্ষক হবেন তিনি যার পরিপূর্ণ আত্মোপলব্ধি হয়েছে। তিনি তার ব্যক্তিত্বের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবেন।
  5. শিক্ষকের ভূমিকা হবে পরিচালকের মত। শিক্ষার্থী তার নির্দেশ ও পরামর্শ অনুসারে কাজ করবে।


শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য

  1. শিক্ষার্থী হবে আত্মসক্রিয়, যাতে সে আত্মোপলব্ধি করতে পারে ।
  2. আত্মজ্ঞান লাভের জন্য শিক্ষার্থীরা কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলবে ।
  3. শিক্ষার্থী হবে সংযত ও শ্রদ্ধাবান ।
  4. শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে চিন্তা করবে। কিন্তু অধ্যয়নই হবে তার একমাত্র তপস্যা।
  5.  শিক্ষার্থী আদর্শবান শিক্ষকের জীবন অনুকরণ করবে। শিক্ষার্থীর মধ্যে পরমসত্তা অবিকশিত ভাবে রয়েছে। 
  6. শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন আদর্শ সৃষ্টি করা যায় না,শিক্ষার্থীদের মধ্যে জন্ম  থেকেই তা বিদ্যমান।
  7.  শিক্ষার্থীরা পরমসত্তারই অংশ। শিক্ষার্থীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধ থাকবে।

Related: চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াস ও তার শিক্ষাদর্শন|

সমালোচনা: 

ভাববাদী শিক্ষাদর্শন শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এ দর্শন মানুষের শিক্ষা চিন্তাকে যুগ যুগ ধরে প্রভাবিত করেছে। তাই প্লেটোর সময় থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত অনেক দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাববাদী শিক্ষাদর্শনকে গ্রহণ করা হয়েছে। এ শিক্ষাদর্শনে ব্যক্তিসত্তাই মূল। জীবন ও শিক্ষায় ব্যক্তিসত্তা ও মানবিক গুণাবলীর প্রাধান্য দিয়ে ভাববাদী শিক্ষাদর্শন বড় অবদান রেখেছে। মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ক্ষেত্রেও ভাববাদ সার্বজনীন অবদান রেখেছে। উপর্যুক্ত গুণাবলী সত্ত্বেও ভাববাদ কিছু সামলোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ:

  1. অনেকে মনে করেন ভাববাদী শিক্ষাদর্শন একটি কাল্পনিক মতবাদ। এখানে ব্যক্তিসত্তা ও আধ্যাত্মিক সত্তার প্রতি অত্যধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিক্ষায় শিক্ষার্থীর উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার জন্য অনেকে ভাববাদী শিক্ষাদর্শনকে শিক্ষা-বিজ্ঞানের পরিপন্থী মনে করেছেন।
  2. ভাববাদী শিক্ষাদর্শন যথাযথ অনুধাবন করা কষ্টকর। কারণ ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনের বিষয়টি দুরূহ এবং কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা গঠিত হলে ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধিত হবে তা নিরূপণ করাও সহজসাধ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধিত হয়েছে কিনা তা নিরূপণ করাও কষ্টসাধ্য, কেননা বিষয়টি বিতর্কমূলক।
  3.  ভাববাদী শিক্ষাদর্শনে ব্যক্তিকে অতীন্দ্রিয় সত্তার প্রকাশ বলা হয়েছে। এ অভিমতও সকলে স্বীকার করেন না। এ ছাড়া তারা আত্মোপলব্ধির কথা বলেছেন, এর অর্থও অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়।

পরিশেষে বলা যায়, ভাববাদী শিক্ষাদর্শন মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ও ব্যক্তিসত্তার প্রাধান্যের স্বীকৃতি দিয়ে বিজ্ঞানের সঙ্গে সহাবস্থান করতে পেরেছে। ভাববাদী শিক্ষাদর্শনে জ্ঞানতত্ত্ব, মূল্যবোধ ও ধর্ম যথার্থ স্থান পেয়েছে। এর কারণে ভাববাদী শিক্ষাদর্শন শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ।

 

Courtesy 

Information Collected From:  শিক্ষাদর্শন(মোঃ আমােজ উদ্দিন,সুভাষ চন্দ্র দাস) 


Collected By:Shahriar Tanzid Shaon

SHAON
আমি শাহরিয়ার তানজিদ শাওন। আমি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ🥰🌺

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.